আমরা হিন্দু কোন ভদ্রলোকের সাথে সাক্ষাত হলে অথবা হিন্দু কোন লোকের আমাদের সাথে দেখা হলে একে অপরকে সম্মান জানিয়ে আদাব দেই । বলা যায় আদাব হচ্ছে হিন্দু-মুসলমানদের ঐক্যের প্রতিক । কিন্তু আমরা কি জানি এই ‘আদাব’ শব্দটি কিভাবে এলো ? অনেকেই হয়তো জানিনা । আজ এই ব্লগের মাধ্যমে ‘আদাব’ শব্দটির উৎপত্তি কিভাবে হল আপনাদেরকে জানাতে চেষ্টা করব
। তার আগে আমাদের জানতে হবে মুঘল সম্রাট আকবর সম্পর্কে ।
সম্রাট আকবর সম্বন্ধে প্রশংসা ও উদারতার উদাহরন ইতিহাসে এতো বেশী স্থান পেয়েছে যা মুঘল বাদশাহ কারো ভাগ্যে সম্ভব হইনি । ইতিহাসের শুষ্ক পাতা সরল ও জীবন্ত হয়ে যেন চিৎকার করে বলে উঠে – ‘মহামতি আকবর ! মহামতি আকবর’ !! পাঠশালা হতে বিশববিদ্যালয় পর্যন্ত ঐ একই শব্দ ‘ধন্য আকবর ! ধন্য আকবর’ !
কিন্তু ইতিহাসের ইতিহাস বলে এসব ই বিকৃত ইতিহাস । হুমায়ুন যখন মৃত্যুবরন করেন তখন আকবরের বয়স ছিল তের বছর । মৃত্যুকালে হুমায়ুনের অকৃত্রিম বন্ধু বৈরাম খা কে নাবালক আকবরের অভিবাবক করে যান । আকবর প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগ পর্যন্ত বৈরাম খা ই রাজকার্য পরিচালনা করতেন । হুমায়ুনের শিখানো মতে বৈরাম খান কে খান-ই-বাবা বলে সম্বোধন করতেন আকবর । রাজকার্য পরিচালনা বৈরাম খার কাছ থেকেই শিক্ষা পান । কিন্তু এই বৈরাম খা তার প্রতিদানের ফলস্বরুপ আকবর কতৃক খুন হন । বাবা-মার স্বপ্ন ‘আমার ছেলের নাম ও রাজ্য বিস্তার যেন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে’ । আকবর ও তাই করলেন তবে সেটা অন্য ভাবে । ছলে-বলে, কলে-কৌশলে, হত্যা, মিথ্যা আশ্রই নিয়ে একের পর এক রাজ্য দখল করেন । হিন্দের রাজা হিমু, নিজ সেনাপতি আদম খা ও পীর মোহাম্মদ মত নির্দোষ ব্যাক্তিদের খুন করেন ।
আকবর হিন্দু বা রাজপুতদের সাথে বৈবাহিক সম্বন্ধ পাতিয়ে নিয়েছিলেন বা আয়ত্তে এনে বন্ধু জাতি পরিনত করেছিলেন যাতে হিন্দু বা হিন্দু রাজপুতরা তার বিপক্ষে না যায় । তখন থেকে হিন্দু প্রজারা তাকে খুব আপনজন ভাবতেন । তার হিন্দুপ্রীতিতে খুশী হয়ে হিন্দু প্রজারা তাকে ‘দিল্লীশ্বর’ উপাধীতে ভুষিত করেন । তার কয়েকদিন পর আবার তাকে ‘জগদীশ্বর’ উপাধীতে ভুষিত করেন ।
আকবর অনেক হিন্দু নারীকে বিয়ে করেছিলেন । ইসলাম ধর্মমতে কোন মুসলিম যদি কোন অমুসলিমকে বিয়ে করে তাহলে বিয়ের আগে অবশ্যই মুসলমান হতে হবে কিন্তু আকবর তা তো করেইনি বরং তার পত্নীদের জন্য আলাদা আলাদা ঠাকুরঘর/পুজার ঘরের ব্যবস্থা করে দেন । তাছারা তার উপ-পত্নি ছিলো প্রায় পাঁচ শত এর অধিক ! রাজবাড়ি হয়ে গিয়েছিল মধ্যপান, ব্যভিচার আর গীতবাদ্যের স্বর্গ্রাজ্য ।
বড় বড় আলেম, উলামা, মুফতি বাদ দিয়ে আকবর একজন কপট বিভ্রান্ত মুসলমান মোবারক নাগুবী এবং তার সন্তানদ্বয় আবুল ফজল ও ফৈজিকে তার রাজ উপদেষ্টা নিয়োগ করেন । এরপর তিনি তার স্বধর্ম ইসলামকে ধ্বংস করার জন্য নতুন ধর্ম সৃষ্টি করেন যার নাম দেন ‘দীন-ই-ইলাহী’ ! তারপর তার নিজের ধর্মকে নিজের মত করে সাজাতে থাকেন ।
কালেমা পরিবর্তন করে নিজের মত করে কালেমা চালু করলেন “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আকবর খলিফাতুল্লাহ” ! (নাউজুবিল্লাহ) । সুর্য পুজা জায়েজ করলেন, মদ, সুদ, জুয়াকে বৈধ বলে নির্দেষ দিয়েছেন, দাড়ি কাঠা তার নতুন ধর্মে হালাল করেছেন । অস্থায়ী বিবাহ প্রচলন, পর্দা প্রথা বিলুপ, বার বছরের কম বয়সী শিশুদের খৎনা দেওয়া নিষিদ্ধ, কোরআন বিশ্বাস করতে নিষেধ করতেন, প্রজাদেরকে নিজেকে সিজদা করার জন্য আইন প্রনয়ন করেন, কবর দেওয়া নিষিদ্ধ সহ আরো অনেক অনেক জঘন্য শিরকি কাজ করেছেন যা আগে-পরে কোন অমুসলিম পর্যন্তও মুসলমানদের এমনভাবে আঘাত করার সাহস পাইনি ।
মুসলমানদের একে অপরে সাথে সাক্ষাত হলে ‘আসসালামু আলাইকুম’ (আল্লাহ আপনার উপর শান্তি বর্ষিত করুক) বলতে হয়। প্রত্যুত্তরে “ওয়ালাইকুম আসসালাম” (আপনার উপরও শান্তি বর্ষিত হোক ) বলা হয় । যুগ যুগ ধরে সারা বিশ্বের এই একই পদ্ধতি ছাড়া দ্বিতীয় কিছু নেই । কিন্তু মহামতি (!) আকবর সালাম দেওয়ার প্রথা বিলোপ করে করে তার পরিবর্তে ‘আল্লাহু আকবর’ বলার নিয়ম চালু করেছিলেন । তা উত্তরে ‘জাল্লা জালালাহু’ বলা হতো । তখন হিন্দু প্রজারা তার কাছে আবেদন করলেন, সম্রাট ! আপনার কাজকরম দেখে সমস্ত হিন্দুই আপনার উপর সন্তুষ্ট । তাই হিন্দুরা আপনাকে দিল্লিশ্বর ও জগদীশ্বর বলে কিন্তু আপনি সালাম তুলে দিয়ে আবার আল্লাহ শব্দ ব্যবহার করলেন কেন ? অতএব এটাও তুলে দিন । তখন আকবর হিন্দু প্রজাদের নিশ্চিন্ত করতে বললেন- মুসলমানদের জন্য স্বয়ং আল্লাহ হিসেবে প্রকাশিত হয়েছি । ‘অর্থাৎ আল্লাহু আকবর মানে আকবরই আল্লাহ (নাউজুবিল্লাহ) । অতঃপর তার অনুগত হিন্দু প্রজারা আবার অভিযোগ করলেন- আল্লাহ শব্দটা হিন্দুবিরোধী । অতএব ওটাকেও তুলে দিন । আকবর তাই করলেন । সারাদেশে ঘোষনা করে দিলেন আজ থেকে ‘সালাম’ বা ‘আল্লাহুর’ পরিবর্তে ‘আদাব’ শব্দ ব্যবহার করতে হবে । এটাই হল মহামতি সম্রাটের মহাসিদ্ধান্ত । আর আমাদের বাংলা সন ইসলাম তথা হজরত মোহাম্মদ (সঃ) এর স্মৃতি বিজরিত হিজরী সনকে ভারত থেকে মুছে ফেলার ষরযন্ত্রের ফল ।
যদি তখনকার ভারতীয় হিন্দু রাজপুত্র বা হিন্দুদের কেউ দিল্লির রাজা হয়ে ঐ রকম ইসলাম ধর্মের উৎপাটন করতে সাহসী হতেন তাহলে এতটা মারাত্মক ফল দেখা দিত না যতটা হয়েছে মুসলমান নামধারী মুঘল সম্রাট মহামতি (!) আকবরের দ্বারা । এখনো ইসলাম ধর্মের বিরোদ্ধে চক্রান্ত চলছে । আর এই চক্রান্তের গিনিপিগ হিসেবে মুসলমানরাই ব্যবহৃত হচ্ছে । কিন্তু ইসলাম অবিনশ্বর । কারন ইসলামই একমাত্র আল্লাহ তাআলার মনোনীত ধর্ম । ইসলাম তথা মুসলমানদের হেফাযত আল্লাহ নিজে করবেন ।
। তার আগে আমাদের জানতে হবে মুঘল সম্রাট আকবর সম্পর্কে ।
সম্রাট আকবর সম্বন্ধে প্রশংসা ও উদারতার উদাহরন ইতিহাসে এতো বেশী স্থান পেয়েছে যা মুঘল বাদশাহ কারো ভাগ্যে সম্ভব হইনি । ইতিহাসের শুষ্ক পাতা সরল ও জীবন্ত হয়ে যেন চিৎকার করে বলে উঠে – ‘মহামতি আকবর ! মহামতি আকবর’ !! পাঠশালা হতে বিশববিদ্যালয় পর্যন্ত ঐ একই শব্দ ‘ধন্য আকবর ! ধন্য আকবর’ !
কিন্তু ইতিহাসের ইতিহাস বলে এসব ই বিকৃত ইতিহাস । হুমায়ুন যখন মৃত্যুবরন করেন তখন আকবরের বয়স ছিল তের বছর । মৃত্যুকালে হুমায়ুনের অকৃত্রিম বন্ধু বৈরাম খা কে নাবালক আকবরের অভিবাবক করে যান । আকবর প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার আগ পর্যন্ত বৈরাম খা ই রাজকার্য পরিচালনা করতেন । হুমায়ুনের শিখানো মতে বৈরাম খান কে খান-ই-বাবা বলে সম্বোধন করতেন আকবর । রাজকার্য পরিচালনা বৈরাম খার কাছ থেকেই শিক্ষা পান । কিন্তু এই বৈরাম খা তার প্রতিদানের ফলস্বরুপ আকবর কতৃক খুন হন । বাবা-মার স্বপ্ন ‘আমার ছেলের নাম ও রাজ্য বিস্তার যেন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে’ । আকবর ও তাই করলেন তবে সেটা অন্য ভাবে । ছলে-বলে, কলে-কৌশলে, হত্যা, মিথ্যা আশ্রই নিয়ে একের পর এক রাজ্য দখল করেন । হিন্দের রাজা হিমু, নিজ সেনাপতি আদম খা ও পীর মোহাম্মদ মত নির্দোষ ব্যাক্তিদের খুন করেন ।
আকবর হিন্দু বা রাজপুতদের সাথে বৈবাহিক সম্বন্ধ পাতিয়ে নিয়েছিলেন বা আয়ত্তে এনে বন্ধু জাতি পরিনত করেছিলেন যাতে হিন্দু বা হিন্দু রাজপুতরা তার বিপক্ষে না যায় । তখন থেকে হিন্দু প্রজারা তাকে খুব আপনজন ভাবতেন । তার হিন্দুপ্রীতিতে খুশী হয়ে হিন্দু প্রজারা তাকে ‘দিল্লীশ্বর’ উপাধীতে ভুষিত করেন । তার কয়েকদিন পর আবার তাকে ‘জগদীশ্বর’ উপাধীতে ভুষিত করেন ।
আকবর অনেক হিন্দু নারীকে বিয়ে করেছিলেন । ইসলাম ধর্মমতে কোন মুসলিম যদি কোন অমুসলিমকে বিয়ে করে তাহলে বিয়ের আগে অবশ্যই মুসলমান হতে হবে কিন্তু আকবর তা তো করেইনি বরং তার পত্নীদের জন্য আলাদা আলাদা ঠাকুরঘর/পুজার ঘরের ব্যবস্থা করে দেন । তাছারা তার উপ-পত্নি ছিলো প্রায় পাঁচ শত এর অধিক ! রাজবাড়ি হয়ে গিয়েছিল মধ্যপান, ব্যভিচার আর গীতবাদ্যের স্বর্গ্রাজ্য ।
বড় বড় আলেম, উলামা, মুফতি বাদ দিয়ে আকবর একজন কপট বিভ্রান্ত মুসলমান মোবারক নাগুবী এবং তার সন্তানদ্বয় আবুল ফজল ও ফৈজিকে তার রাজ উপদেষ্টা নিয়োগ করেন । এরপর তিনি তার স্বধর্ম ইসলামকে ধ্বংস করার জন্য নতুন ধর্ম সৃষ্টি করেন যার নাম দেন ‘দীন-ই-ইলাহী’ ! তারপর তার নিজের ধর্মকে নিজের মত করে সাজাতে থাকেন ।
কালেমা পরিবর্তন করে নিজের মত করে কালেমা চালু করলেন “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আকবর খলিফাতুল্লাহ” ! (নাউজুবিল্লাহ) । সুর্য পুজা জায়েজ করলেন, মদ, সুদ, জুয়াকে বৈধ বলে নির্দেষ দিয়েছেন, দাড়ি কাঠা তার নতুন ধর্মে হালাল করেছেন । অস্থায়ী বিবাহ প্রচলন, পর্দা প্রথা বিলুপ, বার বছরের কম বয়সী শিশুদের খৎনা দেওয়া নিষিদ্ধ, কোরআন বিশ্বাস করতে নিষেধ করতেন, প্রজাদেরকে নিজেকে সিজদা করার জন্য আইন প্রনয়ন করেন, কবর দেওয়া নিষিদ্ধ সহ আরো অনেক অনেক জঘন্য শিরকি কাজ করেছেন যা আগে-পরে কোন অমুসলিম পর্যন্তও মুসলমানদের এমনভাবে আঘাত করার সাহস পাইনি ।
মুসলমানদের একে অপরে সাথে সাক্ষাত হলে ‘আসসালামু আলাইকুম’ (আল্লাহ আপনার উপর শান্তি বর্ষিত করুক) বলতে হয়। প্রত্যুত্তরে “ওয়ালাইকুম আসসালাম” (আপনার উপরও শান্তি বর্ষিত হোক ) বলা হয় । যুগ যুগ ধরে সারা বিশ্বের এই একই পদ্ধতি ছাড়া দ্বিতীয় কিছু নেই । কিন্তু মহামতি (!) আকবর সালাম দেওয়ার প্রথা বিলোপ করে করে তার পরিবর্তে ‘আল্লাহু আকবর’ বলার নিয়ম চালু করেছিলেন । তা উত্তরে ‘জাল্লা জালালাহু’ বলা হতো । তখন হিন্দু প্রজারা তার কাছে আবেদন করলেন, সম্রাট ! আপনার কাজকরম দেখে সমস্ত হিন্দুই আপনার উপর সন্তুষ্ট । তাই হিন্দুরা আপনাকে দিল্লিশ্বর ও জগদীশ্বর বলে কিন্তু আপনি সালাম তুলে দিয়ে আবার আল্লাহ শব্দ ব্যবহার করলেন কেন ? অতএব এটাও তুলে দিন । তখন আকবর হিন্দু প্রজাদের নিশ্চিন্ত করতে বললেন- মুসলমানদের জন্য স্বয়ং আল্লাহ হিসেবে প্রকাশিত হয়েছি । ‘অর্থাৎ আল্লাহু আকবর মানে আকবরই আল্লাহ (নাউজুবিল্লাহ) । অতঃপর তার অনুগত হিন্দু প্রজারা আবার অভিযোগ করলেন- আল্লাহ শব্দটা হিন্দুবিরোধী । অতএব ওটাকেও তুলে দিন । আকবর তাই করলেন । সারাদেশে ঘোষনা করে দিলেন আজ থেকে ‘সালাম’ বা ‘আল্লাহুর’ পরিবর্তে ‘আদাব’ শব্দ ব্যবহার করতে হবে । এটাই হল মহামতি সম্রাটের মহাসিদ্ধান্ত । আর আমাদের বাংলা সন ইসলাম তথা হজরত মোহাম্মদ (সঃ) এর স্মৃতি বিজরিত হিজরী সনকে ভারত থেকে মুছে ফেলার ষরযন্ত্রের ফল ।
যদি তখনকার ভারতীয় হিন্দু রাজপুত্র বা হিন্দুদের কেউ দিল্লির রাজা হয়ে ঐ রকম ইসলাম ধর্মের উৎপাটন করতে সাহসী হতেন তাহলে এতটা মারাত্মক ফল দেখা দিত না যতটা হয়েছে মুসলমান নামধারী মুঘল সম্রাট মহামতি (!) আকবরের দ্বারা । এখনো ইসলাম ধর্মের বিরোদ্ধে চক্রান্ত চলছে । আর এই চক্রান্তের গিনিপিগ হিসেবে মুসলমানরাই ব্যবহৃত হচ্ছে । কিন্তু ইসলাম অবিনশ্বর । কারন ইসলামই একমাত্র আল্লাহ তাআলার মনোনীত ধর্ম । ইসলাম তথা মুসলমানদের হেফাযত আল্লাহ নিজে করবেন ।
No comments:
Post a Comment