আমার কলিগ আকতার(আমার বন্ধু) বলে মাল টা দেখেছিস, যেটা আমাদের অফিসে নতুন জয়েন করেছে! আকতার আর আমি একই ভার্সিটিতে পড়াশুনা করেছি। আমার দুই ব্যাচ আগে আকতার এডমিশন নিয়েছিল। এখন একসাথে জব করছি।
নতুন একটি মেয়ে জয়েন করেছে শুনেছি কিন্তু দেখিনি। আকতার মাল বলাতে খারাপ লাগলো। এক্সিকিউটিভ অফিসার হিসাবে জয়েন করেছে মেয়েটি। আমার এক ডেস্ক পরেই মেয়েটির ডেস্ক। আজ ভালভাবে লক্ষ্য করলাম।মেয়েটি বেশ লম্বা, সাদা কালারের ড্রেস
পরেছে। গতকালই জয়েন করেছে। পরিচয় হওয়ার সুযোগ পাইনি। মেয়েটিও যে আসবে সেটাও না। একমনে কাজ করে যাচ্ছে। আমিও আর ঘাটলাম না।
পরের দিন অফিসে যেয়ে দেখি ছোটখাটো জটলা, কাছে যেয়ে দেখি নুবা, আমাদের অফিসের নতুন মেয়েটি। চোখে জল, অবাক হলাম, কি হয়েছে জিজ্ঞেস করতেই জানলাম অফিসের পিয়ন নাকি মাল বলেছে আর নুবা নাকি শুনতে পায় , এই নিয়েই তুলকালাম!
ব্যাপারটা যে খারাপ তা আমরা সবাই জানি। আকতার ভয়ে চুপসে গেছে। আমি এই অফিসে নতুন হলেও এই অল্প কয়েকদিনে প্রভাব বিস্তার করেছি! বস আমাকে প্রায়ই ডেকে পাঠান রুমে নতুন আইডিয়া মার্কেটিং প্লান শোনার জন্য। সেই সুবাধে বসের সাথে আমার খুব ভাব। আমাদের মধ্যে ডিসটেন্স কম। নুবাকে কাঁদতে দেখে আমি বসের কাছে গেলাম। ব্যাপারটি বস কে জানাতে বললেন, আমিই যেন বিষয়টি সেটেল্ড করে দিই।পিওন কে ডেকে নিয়ে আসলাম, সরি বললো পিওন। পা ধরে ক্ষমা চাইতে বললাম, নুবা বললো থাক দরকার নেই।
সন্ধায় অফিস ছুটি হল, নুবা বললো আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।আমি তেমন কিছু বললাম না, শুধু বললাম প্রতিবাদ করতে শিখুন, কান্নাতে জল আসবে, সম্মান নয়। আজই প্রথম কথা হল।
আমি তেমন কথা বলিনা নুবার সাথে। নুবাকে দেখতে বেশ লাগে। চোখগুলো বেশ বড় বড়, উচ্চতা মাঝারি, মাঝারি গড়নের নুবাকে আলাদা করা যায়। আমি বিজি থাকি নতুন নতুন প্লান নিয়ে। নুবার কাজ আমাদের ক্লায়েন্টদের আপডেট দেওয়া নেওয়া।
আজ নুবা আমাকে অফার করেছে অফিস ছুটির পর কফি খাওয়াবে। অফিস থেকে বের হয়ে পুলিশ প্লাজার সামনে নতুন কফি শপ হয়েছে। রাজি হলাম কফি খেতে, আকতার এই নিয়ে মজা করলো। সত্যি বলতে কি নুবার সাথে কফি খাওয়া আমারও ইচ্ছে ছিল কিন্তু বলিনি।
সন্ধায় বের হলাম, রিকশা নিয়ে দুজন আসলাম।
পুলিশ প্লাজার সামনে নামলাম। রাস্তা পার হবো, পার হতে পারছিনা খুব জোড়ে গাড়ি যাচ্ছে। বাধ্য হয়ে নুবার হাত ধরে পার করলাম।
কথা হচ্ছে অফিসে এই কয়েকদিনে অফিসের ভেতর আমার সাথে নুবার তেমন কোন কথা হয়নি, জাষ্ট কাজের ক্ষেত্রে হাই হ্যালো করেছি। কিন্তু এই এত দ্রুত কফি খাওয়ার ইনভাইটেশন পাবো, এতটা আশা করিনি।রাস্তা পার হয়ে কফি শপে বসলাম। কফি খাওয়া আর টুকটাক কথা হচ্ছিল। খাওয়ার সময় আমি যতসামন্য তাকিয়েছি নুবার দিকে। লুতুপুতু কথা বলতে পারিনা আমি। হ্যা নুবাকে খুব সুন্দর দেখাচ্ছিল, চোখ রাখা মুশকিল!
অফিসে তেমন কথা না হলেও সারাদিনে যে দু চার বার চোখাচোখি হয়নি সেটা আমি বলছিনা!কথা যে বলতে চাইনি তা একাবারে ঠিক না। আকতার আর পিওনের মুখে মাল শব্দ শুনে আমি আর এগোয়নি।
আজ নুবা যা বললো তার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না একাবারেই। হা সত্যি বলছি নুবাকে আমার ভাল লাগে। মনে মনে কিছুটা ভালোবেসে ফেলেছি। দেখুন আপনি আমার দিকে তাকান বা ফলো করেন তা আমি বুঝতে পারি। তো!আমি বললাম ভালোই,আপনি বুঝতে পারলে তো ভাল! না সত্যটা জানলে আপনার খারাপ লাগবে যদিও, তবুও বলছি, আমার হাসবেন্ড কে আমিই ডিভোর্স দিয়েছি। ডিভোর্স হয়েছে ১ বছর হলো। আমার একটা মেয়ে আছে ২ বছর বয়সের। নিহা আমার মেয়ে, আমার স্বপ্ন, আমার জীবন। আমি ন্যাকামো করে বলবো না যে আমি আর বিয়ে করবো না, কিন্তু এমন কাউকে করবো যে আমার চেয়ে আমার মেয়েকে বেশি ভালবাসবে।
তাই আমাকে নিয়ে কিছু না ভাবলেই আপনার জন্য মঙ্গল। তাছাড়া ও আপনি আনম্যারিড।
আমি কিছু সময় চুপচাপ থাকলাম। আমার কেন জানি মনে হলো এই কথা শুনে চলে যাওয়াটা কাপুরুষত্ব! আমি নুবাকে ডাইরেক্ট বললাম,দেখুন আমি যথেষ্ট ম্যাচিউর তাই ভেবে দেখলাম আপনার এই সমস্যা আমার কোন সমস্যা হবেনা। তাই.....নুবা আর কিছু বলতে দিলনা।
দুজন দুজন কে বিদায় দিয়ে বাসায় আসলাম। মোবাইল নাম্বার ইচ্ছে করে নিইনি।
পরের দিন অফিসে গেলাম নুবাকে বেশ ফুরফুরে মনে হল, জানলাম তার মেয়ের জন্মদিন। আমাকে বলেছে সন্ধার পর সময় দিতে।
অফিস শেষ করে দুজন গেলাম নাভানা টাওয়ারে। আমি একসেট ড্রেস নিলাম, কিছু খেলনা কিনলাম। দুইজন সি এন জি করে বনানিতে মি:বেকারে গেলাম। একটি চকলেট কেক কিনে সি এন জি নিয়েই বাসাবো আসলাম।
দুই তলাতে বাসা। দুইটি রুম। বাসায় একটি কাজের মেয়ে রাখা, শুধু নিহা কে দেখার জন্য।রান্নাবান্না সব নিজেই করে।একাই থাকে, রুম বেশ সাজানো গোছানো। বসলাম সোফাতে, মেয়েটি নিহা কে নিয়ে নুবার কোলে দিয়ে গেল। মাশাল্লাহ মেয়েটি নুবার মতই কিউট! আমি চেয়ে নিলাম আমাকে কোলে দিল। আশ্চর্য মেয়েটি আমার কোলে চলে আসলো! নুবা আমার কোলে দিয়ে ফ্রেশ হতে চলে গেল। বেশ অনেক সময় পর আসলো, শাড়ি পরেছে বেশ সুন্দর লাগছে। নুবা অবাক হয়ে গেল এত সময় আমার কোলে কিন্তু একটুও কাঁদেনি। এটা সত্য কোন বাচ্চা আমার কোলে এসে কাঁদেনা। নুবা কোলে নিতে চাইলো কিন্তু গেলনা! আমি দুষ্টুমি করে বললাম নিহা বলেছে বাবার কোল থেকে যাবেনা! নুবা আমার দিকে চোখ বড় করে হাসে!
কেক কাটলাম, বেশ আনন্দ করে রাতে খাবার খেয়ে বাসায় ফিরলাম।
প্রায় প্রতিদিনই আমরা একসাথে অফিস থেকে বের হই। এই নিয়ে বেশ কানাঘুষা করে সবাই। সবাই কিভাবে যেন জেনে গেছে নুবা ডিভোর্সি। এই জন্য আমাকে আকতার নিষেধ করে মিশতে, বলে সেকেন্ড হ্যান্ড জিনিষ কেন নিবো!
আমি নুবাকে নিয়ে আগের চেয়ে বেশি ঘুড়াঘুড়ি করি।
আপনাদের জানতে ইচ্ছে করছে এত সুন্দরী তারপরও এই ডিভোর্স কেন! হুম আগের হাসবেন্ড বিয়ের পরও পরকীয়া করে, মদ্যপ হয়ে মারধর করে, বিয়ের দিন থেকেই। ভালবাসা বলতে কিছু নেই, শরীরের প্রয়োজনে শরীর এমন ভাবেই প্রেগন্যান্ট হয়েছিল নুবা। প্রেগন্যান্ট অবস্থায় ও অত্যাচার কমেনি। মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টার কমতি ছিলনা। কিন্তু হয়নি সেটা। তাই এই সেপারেশন।
আমি আজ শক্ত করে নুবার হাত ধরে বলেছি নুবা আমি আপনাকে বিয়ে করতে চাই। এটা শুনে নুবা বলে এটা হওয়ার নয়। আমার একটি মেয়ে আছে....আপনার সমাজ, সংস্কার ডিভোর্সি মেয়ে মেনে নিবেনা। আমি বললাম দেখেন নুবা, ভালবাসি আপনাকে তাই আপনার মেয়েও আমার মেয়ে তাই ভয় পাবেন না। দুইজনই আমার।
আজ শুক্রবার নুবাকে বলেছি নিহাকে নিয়ে বাহিরে আসতে। পড়ন্ত বিকেল, হাতিরঝিলে ওয়াটার বোটে ঘুড়লাম। ফুচকা খাওয়ালাম। আমি খাইনা, তাই নুবা নিহা আর আমি মিলে আফতাব নগর লোহার ব্রিজে কাশফুলের মাঠে নিয়ে গেলাম। নিহাকে আমি কোলে নিয়েছি। আমাকে না বাবা বাবা লাগছে! নেহাকে হাটানো শিখাচ্ছি আমি। এর ফাঁকে কাশফুল নিয়ে নুবাকে দিলাম। নুবার চোখে জল। এ জল কিসের ছিল?
ইচ্ছে আছে নুবাকে বিয়ের পর নুবার সাথে প্রেম করবো চুটিয়ে! নুবাকে বলেছি মানুষিক প্রস্তুতি নিতে, কিন্তু নুবা রাজি হয়না।
শেষমেষ অনেক বলার পর নুবা রাজি হলো। মাসুম, আকতার আর ঊর্মি আমাদের বিয়ের স্বাক্ষী হল, মধ্যবাড্ডা কাজী অফিস, কাবিননামা এক লক্ষ এক টাকা। মাসুম আমার বন্ধু আর ঊর্মি আমার খালাতো বোনের মেয়ে।
বাসা নিয়েছি আমি। আত্নীয়রা নানাতিক্ত কথা বলে আমার পেছনে। অফিসের অন্য কলিগেরা বাজে আর নোংরা কথা বলে। আমি প্রতিবাদ করতে যাইনা। এদের সাথে কথা বলা মানে কুকুরের সাথে কথা বলা।
আমরা সুখে আছি হ্যা খুব সুখে আছি। আমরা দুইজন অফিস থেকে ফিরি একসাথে। বাসায় গেলেই নিহা আমার কোলে বাব্বা বলে ঝাঁপিয়ে পরে..এরমতো ভাললাগার ব্যাপার আর কি আছে! আমার প্রতিটি সকাল হয় নুবার চুমুতে আর নিহার বাব্বা ডাক শুনে! সন্ধায় একসাথে কফি খাই,ওয়াটার বোটে ঘুড়াঘুড়ি দিনগুলি খুব দ্রুত যাচ্ছে। আমি কতটা হ্যাপি তা শুধু অনুমান করা যাবে, বাস্তবটা আমার আর নুবার মাঝে!
নুবা আমাকে এত ভালোবাসে যে আমি মাঝে মধ্যে লজ্জায় আর আতংকে থাকি! শেষ হয়ে যাবেনাতো! আমার সব কিছু এখন নুবা আর নিহা কে ঘিড়ে।
আজ একাই বাসায় এসেছি, নুবা আসেনি আজ বলেছে শরীর খারাপ। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়নি। আর আমি আজ অবধি জব করতে নিষেধ করিনি, আমি চাই নুবা নিজে ইনকাম করুক, নিজের স্বাধীনতায় খরচ করুক বা ফ্যামিলিকে সাপোর্ট দিক। এই নিয়ে কলিগরা বলে বউ দিয়ে ইনকাম করাই। আমি গা করিনা। যাইহোক বাসায় এসে দেখি পুরো বাসা সাজানো! রঙ বেরঙ এর বেলুন! বিশাল সাইজের কেক! আর হ্যা দরজা খুলেই নুবা আমাকে জড়িয়ে ধরে চুমু দিয়েই বলেছে জান হ্যাপি বার্থডে! আমি ও প্রতিউত্তর চুমু দিয়েছি! আনন্দে চোখে জল চলে এলো। পাগলিটা আজ ইচ্ছে করেই অফিসে যায়নি!আমি ভুলেই গেছিলাম আজ আমার জন্মদিন! আমার পাগলি নুবা মনে রেখেছে। কেক কাটল, রাতে আমার প্রিয় সব ডিশ রান্না করেছে। বুঝলাম পাগলি আজ অনেক কষ্ট করেছে। কারণ প্রতিদিন সন্ধ্যায় আমরা দুজন মিলেই রান্না করি। আমি ভাত তুলে দিলে ও তরকারি কুটে দেয়। আমি থালাবাসন ধুয়ে দিলে ও রুম গোছায়, আমি ঘর মুছে দিলে ও কাপড় ধোয়। আমি বেশ উপভোগ করি। রাতের খাবার খেয়ে দুজন কোন প্রিয় মুভি দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়ি। শুক্রবারে নিহাকে নিয়ে আমরা যমুনাতে মুভি দেখতে যাই। বেশ ভালবাসায় ভাললাগায় সময় যাচ্ছে।
কিছুদিন ধরে আমার শরীর খারাপ যাচ্ছে। গা গরম থাকে, রুচি নেই,খেতে পারিনা। নুবা আজ জোড় করেই ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেল, অনেক টেষ্ট দিল।
সন্ধায় নুবা নিজেই ডা: এর কাছে গেছে আমি জানতাম না। মন ভার করে ফিরে আসলো। বললাম খারাপ কিছু নাকি! শান্তভাবে যা বলার বললো। পাগলিটা জড়িয়ে ধরে খুব কান্না করে করতে লাগলো। আমার কিডনি একটি নষ্ট। রিপ্লেস করতে হবে। আমি বললাম দেখো টেনশন করোনা। ডা: ভুল বলেছে! শক্ত হওয়ার চেষ্টা করছি, সাহস দিচ্ছি নুবাকে।
নুবা আজ অফিসে গেছে আমি যাইনি। নিহা কে নিয়ে বাসায় আছি। ভাল লাগছে না। নুবা কখন আসবে!
বেশ রাত করে বাসায় আসলো। পরের দিন হস্পিটালে নিয়ে গেল, বললো চলো, আমি জানতাম না আমার অপারেশন করাবে আবার অনেক টেষ্ট করিয়ে নিল। বেশ ভয় পেয়ে গেলাম! পরের দিন রাতে অপারেশন। বন্ড সিগনেচার করতে নুবা বেশ কান্নাকাটি করলো। অপারেশন টেবিলে আমি শক্ত করে নুবার হাত ধরেছি, নুবা আমাকে কপালে আলতো করে চুমু দিল। নিহাকে দেখতে ইচ্ছে করছে, কিন্তু নিহাকে নিয়ে আসেনি।
আমার অপারেশন হলো, আমি এখন বেশ সুস্থ। অপারেশনের পর নুবাকে পাশে পেলাম না। নার্স কে জিজ্ঞেস করলাম, নার্স জানালো বাসায়। দুই দিন আসলো না, কল দিলে বলে নিহা খুব সিক, তাই আসতে পারছেনা। খুব খারাপ লাগছে কাউকে না দেখে। তিন দিন পর নুবা আসলো, চোখের নিচে কালি! ভাবলাম নেহা অসুস্থ ঘুম হয়নি তাই এবস্থা।
বাসায় আসলাম সুস্থ হয়ে।কিন্তু অবাক হলাম নুবাকে বেশ সিক দেখে...আমার অপারেশন হয়েছে এইটুকু জানতাম কিন্তু কিডনি রিপ্লেস করবে তা জানতাম না। আসলে সত্যটা গোপন করেছিল নুবা। আমার দুইটি কিডনিই ড্যামেজ ছিল। আমাকে বলেনি। যা সন্দেহ করেছি তাই, আমাকে না বলে কিডনি দিয়ে দিয়েছে আমাকে! আমি আর নিজেকে ধরে রাখতে পারলাম না। খুব করে কাঁদলাম নুবাকে জড়িয়ে ধরে।
আজ শুক্রবার, আমাদের প্রথম বিবাহ বার্ষিকী। বাসায় অনেক আয়োজন করেছি। সবাই আমাকে বলতো সেকেন্ড হ্যান্ড মাল বিয়ে করেছি! হ্যা আমি করেছি, আমার নুবা সেকেন্ড হ্যান্ড, আমার নুবা ডিভোর্সি! কিন্তু আমার নুবা আমার আমার আর আমার! নুবা কে আমার জীবন বলতে পারিনা? আপনারা কি বলেন??!! দোয়া করবেন সবাই আমাদের জন্য।
আরো পডুনঃ
ক্রসফায়ার ! একজন ঘাতকের আত্মকথন
আদাব এবং একজন মহামতি আকবর !
দৃষ্টিকোণ ৷ সময় নিয়ে পড়ুন, অসাধারণ একটি গল্প
No comments:
Post a Comment